Get Flower Effect

জানতে হলে জানাতেও হবে....

কাঙ্খিত তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট ডানপাশের লেবেল এর উপর ক্লিক করুন। যেকোন পোস্ট যেকোন সময় আপডেট হতে পারে। তাই একবার সমাধান না পেলে পূনরায় ঐ পোস্টটি ভিজিট করুন। পূর্বের পোষ্টগুলো দেখতে চাইলে পুরাতন পোষ্ট-এ এবং নতুন পোস্টগুলোর জন্য হোম বাটনে ক্লিক করুন। যাদের জানা নেই শুধু তাদের জন্য .....

If you want to know more about online earning then please click here

Translate

বর্ষসেরা ১০ যন্ত্র


২০১১ সালের পুরোটাই ছিল ট্যাবলেট কম্পিউটার ও স্মার্টফোনের রাজত্ব। আইপ্যাড ও আইফোন বের হওয়ার পর থেকেই অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে অন্য কোম্পানিগুলোও বের করে নিজস্ব ট্যাবলেট পিসি, স্মার্টফোনসহ নানা চমকপ্রদ যন্ত্রপাতি। সেগুলোর মধ্য থেকে বেছে বেছে সম্প্রতি টাইম সাময়িকী প্রকাশ করেছে ২০১১ সালের সেরা ১০ যন্ত্রের তালিকা।

১. আইপ্যাড টু
পুরোনো আইপ্যাডের দুর্বলতা কাটিয়ে হালকা-পাতলা গড়নের অ্যাপল আইপ্যাড টুর হাতেই ছিল ট্যাবলেট পিসি-দুনিয়ার একক রাজত্ব। ৯.৭ ইঞ্চির টাচিস্ক্রন, ১ গিগাহার্টজ ডুয়েল কোর এ৫ অ্যাপল প্রসেসর, ৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণক্ষমতাসহ আইপ্যাড টুতে আছে ভিডিও চ্যাটের সুবিধা। তারহীন ওয়াই-ফাই ও তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) নেটওয়ার্ক সুবিধাসহ তৈরি আইপ্যাড টু সিডিএমএ এবং জিএসএম দুটি নেটওয়ার্কই সমর্থন করে। আইপ্যাড টু টানা ১০ ঘণ্টা চলে।
২. স্যামসাং গ্যালাক্সি নেক্সাস
অ্যান্ড্রয়েড ৪.০ আইসক্রিম স্যান্ডউইচ অপারেটিং সিস্টেমে তৈরি গ্যালাক্সি নেক্সাস নিয়ে আসে যৌথভাবে স্যামসাং ও গুগল। ৪.৬৫ ইঞ্চি বাঁকানো এইচডি সুপার এমোলিড পর্দাসহ এই স্মার্টফোনটি অনেকটা নেক্সাস এসের মতো। পর্দা বড় হওয়ার কারণেই এর ওজন অন্য ফোনগুলোর তুলনায় বেশি। তবে ওজন ১৪৫ গ্রাম হলেও এটি ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হয় না, বরং রেজ্যুলেশন ১২৮০X৭২০ হওয়ায় লেখা পড়তে সুবিধা হয়। এর পেছনে ৫ মেগাপিক্সেল ও সামনের দিকে ১.৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা রয়েছে। আইফোন ৪ এসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই বাজারে এসেছে এটি।
৩. অ্যামাজন কিন্ডল ফায়ার
অ্যাপলের আইপ্যাডের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার হুমকি দিয়ে অ্যামাজন নিয়ে আসে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ট্যাবলেট কম্পিউটার ‘কিন্ডল ফায়ার’। মাত্র ১৯৯ ডলারের এই ট্যাবলেট বাজারে আসার আগেই বেশ আলোচিত হয়। ডুয়েল কোর প্রসেসরসহ সাত ইঞ্চি আকারের ট্যাবলেট দিয়ে অ্যামাজনের অনলাইন দোকান থেকে এক ক্লিকেই কেনা যায় সবকিছু। খুব সহজেই এতে গান শোনা, গেম খেলা, ই-বুক পড়া, ভিডিও দেখা ও ডাউনলোড করা যায় অ্যামাজন থেকে।

৪. অ্যাপল আইফোন ফোর এস
বছরের শেষের দিকে অ্যাপলের আরেক চমক ছিল আইফোন ফোর এস। এতে রয়েছে আইপ্যাড টুর অত্যাধুনিক চিপ, যার জোরেই চোখের নিমেষে সব কাজ করে ফেলতে পারে স্মার্টফোনটি। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মোবাইল ক্যামেরাটিও আইফোন ফোর এসের। চেহারা শনাক্ত করা, রঙের ভারসাম্য ইত্যাদি সুবিধাসহ এর ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ে নিখুঁত ছবি। আইফোন ফোর এসের মজার প্রোগ্রাম হলো ‘সিরি’। ফোনের হোম বাটনটি টিপে কথা বললেই ‘সিরি’ বুঝবে আপনার মনের কথা।
৫. নিনটেনডো থ্রিডিএস
থ্রিডি চশমা ছাড়া গেম খেলার ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি গেম কনসোল নিনটেনডো থ্রিডিএস। ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তির উন্নয়নে কয়েক দশকের চেষ্টায় গেমারদের জন্য এই কনসোল তৈরি করে নিনটেনডো। গেম কনসোলটিতে রয়েছে দুটি স্ক্রিন, যার একটি টাচিস্ক্রন। রয়েছে অন্য ডিভাইসে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান এবং সরাসরি গেমস ডাউনলোডের সুবিধা। এর ক্যামেরা দিয়ে ত্রিমাত্রিক ছবি তোলারও সুবিধা রয়েছে। নিনটেনডো থ্রিডিএসের ত্রিমাত্রিক আবহ গেম খেলায় এক
নতুন মাত্রা এনে দেয়।
৬. সনি এস সিরিজ ভায়ো
সনি এস সিরিজের এই ল্যাপটপ বাজারের মাঝারি দামের ল্যাপটপগুলোর মধ্যে সেরা। ইন্টেল কোর আই ৫-২৪৩০ এম ২.৪ গিগাহার্টজ প্রসেসর ও মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৭ হোম প্রিমিয়াম অপারেটিং সিস্টেম সমৃদ্ধ। এর পর্দা ১৩.৩ ইঞ্চি।এর ওজন ১.৬ কেজি। এই ল্যাপটপে রয়েছে শক্তিশালী গ্রাফিক্স চিপ, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, ডিভিডি রাইটার এবং আঙুল শনাক্তকরণ নিরাপত্তা।
৭. রকু এলটি
ওয়াই-ফাই প্রযুক্তিতে তৈরি ভিডিও স্ট্রিমিং মিডিয়া বক্স রকু এলটি নেটফ্লিক্স, হুলুপ্লাস, অ্যামাজন এইচবিও, প্যানডোরা ছাড়াও অন্যান্য ভিডিও স্ট্রিমিং সাইট থেকে সরাসরি ভিডিও দেখার সুযোগ দেয়। হাইডেফিনেশন ভিডিও খুব সহজেই স্ট্রিমিং করার জনপ্রিয় মাল্টিমিডিয়া রিসিভার এটি। মাত্র ৫০ মার্কিন ডলারের এই ডিভাইসটি যেকোনো টিভিতে ব্যবহার করে সাড়ে তিন শর বেশি বিভিন্ন ধরনের চ্যানেল দেখা যায়।
৮. অ্যাপল ম্যাকবুক এয়ার
এ বছর অ্যাপলের সেরা আরেকটি ডিভাইস অ্যাপল ম্যাকবুক এয়ার। অ্যাপলের ডেস্কটপ কম্পিউটার ও মোবাইল ডিভাইসের সুবিধার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে এই পাতলা ল্যাপটপটি। আইপ্যাডের মতো এই ল্যাপটপে কোনো হার্ডড্রাইভ নেই, আছে ফ্ল্যাশ মেমোরি। এর ব্যাটারি একবার চার্জ করলে একটানা সাত ঘণ্টা ব্যবহার করা যায়। এ ছাড়া স্ট্যান্ডবাই মোডে এর ব্যাটারির চার্জ এক মাস পর্যন্ত থাকবে। সব ফিচারসমৃদ্ধ আলট্রা-পোর্টেবল এই ল্যাপটপে আছে কোর আই-৫ প্রসেসর, কি-বোর্ডের পেছনে ব্যাকলিট, মাল্টিটাচ্ ট্র্যাকপ্যাড, দ্রুতগতির চিপস ও নতুন প্রযুক্তির থান্ডারবোল্ট পোর্ট। দেড় কেজির কম ওজনের ম্যাকবুকে রয়েছে দুটি ইউএসবি পোর্ট এবং একটি মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট।
৯. সনি প্লেস্টেশন থ্রিডি ডিসপ্লে
সনির প্লেস্টেশন থ্রি-সমর্থিত থ্রিডি গেমগুলো চালানোর জন্য দরকার ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিসম্পন্ন একটি মনিটর সনি প্লেস্টেশন থ্রিডি ডিসপ্লে। প্রায় ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যের এই মনিটরটি গেমিং কনসোল ছাড়াও যেকোনো ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়।
১০. ল্যাপডকসহ মটোরোলা অ্যাট্রিক্স
মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের সমন্বয়ে মটোরোলার স্মার্টফোন মটোরোলা অ্যাট্রিক্স ফোর জি। আঙুলের ছোঁয়া লাগালেই অ্যাট্রিক্স বলে দেবে আপনি এর প্রকৃত মালিক কি না। কেনার পর নির্দিষ্ট নিয়মে টাচস্ক্রিন কয়েকবার স্পর্শ করলেই প্রকৃত মালিককে চিনে নেবে অ্যাট্রিক্স। এরপর প্রকৃত মালিক না হলে কাজ করবে না অ্যাট্রিক্স। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, এর সঙ্গে রয়েছে চোখ ধাঁধানো ল্যাপডক, যার ফলে এটাকে ল্যাপটপ মনে হতে পারে। তবে কোনো প্রসেসর নেই এতে। কিন্তু স্মার্টফোনটি ডকে বসালে ফোনের ডুয়েল কোর প্রসেসরে এটি চলবে নরমাল ল্যাপটপের মতো।