Get Flower Effect

জানতে হলে জানাতেও হবে....

কাঙ্খিত তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট ডানপাশের লেবেল এর উপর ক্লিক করুন। যেকোন পোস্ট যেকোন সময় আপডেট হতে পারে। তাই একবার সমাধান না পেলে পূনরায় ঐ পোস্টটি ভিজিট করুন। পূর্বের পোষ্টগুলো দেখতে চাইলে পুরাতন পোষ্ট-এ এবং নতুন পোস্টগুলোর জন্য হোম বাটনে ক্লিক করুন। যাদের জানা নেই শুধু তাদের জন্য .....

If you want to know more about online earning then please click here

Translate

বাংলাদেশ থেকে আমি যেভাবে পেপ্যাল এর টাকা উত্তোলন করি একইভাবে কিন্তু আপনিও করতে পারেন

মুখ বন্ধ কিছুদিন আগে “অনলাইনে আয় শুরু করুন এফিলিয়েট মার্কেটিং এ হাতেখড়ির মাধ্যমে” শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। তো এই পোস্টটি পড়ে যারা আসলেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ হাতেখড়ি নিয়েছিলেন বা যারা আরো আগে থেকেই এসব নিয়ে টোকাটুকি করতে ছিলেন তাদের অনেকেই একটি কমন সমস্যায় পড়েন যাদের মধ্যে কেউ কেউ আমাকে জানান। সমস্যাটি হল যে এসব সাইট থেকে যৎসামন্য হলেও আয় করার নিশ্চয়তা আছে কিন্তু তা হাতে পাবার একমাত্র উপায় হল পেপ্যাল যা বাংলাদেশে অনুমোদিত নয়। তাহলে আয় হলেই লাভ কি? যদি তা হাতেই না পাওয়া গেল? যাইহোক এদেশে পেপ্যাল অনুমোদিত নয় একথা ঠিক কিন্তু পেপ্যাল থেকে টাকা একেবারেই যে হাতে পাবার উপায় নেই তা ঠিক না নয়তো আমি পাচ্ছি কি করে? যাই হোক আমি আজ আমার এই পোস্টে কি করে পেপ্যাল থেকেও বাংলাদেশে টাকা হাতে পাওয়া যায় মোদ্দাকথা আমি কি ভাবে পাই তা নিয়েই আলোচনা করব। তবে আপনারা যখন লেনদেন করবেন নিজ দায়িত্বে করবেন এবং নিজেরা যাচাই করে নেবেন।

পদ্ধতি এক

এই পদ্ধতিটি আমার কাছে সবচেয়ে সহজ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন অর্থ লেনদেন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে টাকা আনা যায়। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হলো পেপ্যালবিডি ডট কম। এই সাইটে আপনি একাউন্ট খোলার পর তাদের অফিসে গিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এবং ২০০ থেকে ৫০০ টাকা বার্ষিক সদস্য ফি দিয়ে একাউন্টটি একটিভ করে নেবেন। এরপর যখনই আপনার পেপ্যাল থেকে টাকা তোলার দরকার হবে আপনি তাদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। প্রতি লেনেদেনে তারা ৫% থেকে সর্বোচ্চ ১০% ফি রাখতে পারে।

পদ্ধতি দুই

payoneerpartnersএই পদ্ধতি একটু জটিল তা ঠিক তবে শুরুতে আমিও এ পদ্ধতিটি যেমন ব্যাবহার করতাম তেমনি এখনও একটু বড় এমাউন্ট হলেই এ পদ্ধতিটি ব্যাবহার করি। এটা হচ্ছে ওডেস্ক বা ইনফোলিংস থেকে Payoneer এর কার্ড আপনার ফেসবুক বা ব্লগের কোন বিদেশী বন্ধুকে অনুরোধ করে সংগ্রহ করিয়ে তার ঠিকানায় একটি পেপ্যাল একাউন্ট খুলে তারপর ঐ কার্ডটি একটিভ করে তা দিয়ে পেপ্যাল একাউন্ট ভেরিফাই করে এবার কার্ডটি আপনার কাছে পাঠিয়ে দিতে বলুন। এবার আপনার পেপ্যালে জমাকৃত টাকা এই কার্ডের অনলাইনে একাউন্টে যে কোন সময় উইথড্র করে আপনার কার্ডটি দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন নিকটস্থ কোন এটিএম বুথ থেকে যা এ ধরনের লেনদেন সাপোর্ট করে।
আমাকে পেপ্যাল একাউন্ট খুলে দিয়েছে টেকটিউনের টিউনার তারেকবিডি চায়না থেকে তার ঠিকানা দিয়ে।

পদ্ধতি তিন

এ পদ্ধতিটি তাদের জন্য যারা অনলাইনে কম টাকা আয় করেন বিভিন্ন রেফারেল বা রিভিউ দিয়ে তারা যেন মাসের নেট বিল বা মোবাইল খরচটা অন্তত চালিয়ে নিতে পারেন এর মাধ্যমে। আমি মাঝে মাঝে Co.cc এর রেফারেল আয় দিয়ে এভাবে মোবাইল বা নেট বিল দিয়ে থাকি। এটা হল যে কোন ভাবে একটি পেপ্যাল একাউন্ট খুলে (ভেরিফাই এর দরকার নেই) তারপর সেখানে আয়ের জমাকৃত টাকা remit2cell.com বা flexi-load.com থেকে সরাসরি মোবাইলে নিযে আসা যায়। যা থেকে খুব সহজেই নেট বা মোবাইল বিলের খরচটা হয়ে যায় আর আমার মনে হয় অনলাইনে আয়ের জন্য একটু সময় দিলেই এ খরচটা উঠানো যায়।
আজ এ পর্যন্তই আরো কিছু পদ্ধতি নিয়ে খুব শীঘ্রই আরেকটি পোস্ট করব।