Get Flower Effect

জানতে হলে জানাতেও হবে....

কাঙ্খিত তথ্য জানতে সংশ্লিষ্ট ডানপাশের লেবেল এর উপর ক্লিক করুন। যেকোন পোস্ট যেকোন সময় আপডেট হতে পারে। তাই একবার সমাধান না পেলে পূনরায় ঐ পোস্টটি ভিজিট করুন। পূর্বের পোষ্টগুলো দেখতে চাইলে পুরাতন পোষ্ট-এ এবং নতুন পোস্টগুলোর জন্য হোম বাটনে ক্লিক করুন। যাদের জানা নেই শুধু তাদের জন্য .....

If you want to know more about online earning then please click here

Translate

ব্যবসা হোক ইন্টারনেটে

ঘরে বসে বিশ্বজুড়ে পণ্য ও সেবা পৌছে দিতে ইন্টারনেটই হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত মাধ্যম। ইন্টারনেটভিত্তিক বাণিজ্যিক উদ্যোগের মাধ্যমে ঘুরে যেতে পারে জীবনের মোড়।
চট্টগ্রাম শহর থেকে দেড়শ' কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত এলাকায় থাকেন শফি নূর।
বলতে গেলে সারাদিনই বাড়িতে থাকেন। বাইরে না গেলেও তিনি যে কাজ করেন না_ এমন নয়। বরং তার পরিবারের অন্য সব সদস্যের চেয়ে তিনি বেশি কাজ করেন। কাজের জন্য তিনি প্রচলিত ক্যারিয়ারে না গিয়ে বেছে নিয়েছেন ভিন্ন পথ, অনলাইন ব্যবসা। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই তিনি তার সেবা বিক্রি করেন গ্রাহকদের কাছে। এ থেকেই তিনি প্রতি মাসে আয় করেন দেড় লক্ষাধিক টাকা।
একান্ত আলাপকালে তিনি জানালেন তার উদ্যোগের গল্প। বললেন, 'প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। নির্দিষ্ট লক্ষ্য সামনে রেখে নেমে পড়লেই হলো। এ কাজের জন্য এখনই শ্রেষ্ঠ সময়।' অনলাইন উদ্যোক্তার দলে শফি এখন একা নয়, ইতিমধ্যে সহস্রাধিক বাংলাদেশি তরুণ অনলাইনে খুলে বসেছেন নিজস্ব ব্যবসা, বিদেশি গ্রাহকদের সেবা এবং পরামর্শ দিয়ে দেশে আনছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
যে ব্যবসা আপনার জন্য :ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসার জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্র রয়েছে। চাহিদা এবং নিজের দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বেছে নেওয়া যায় যে কোনোটি। ইন্টারনেটে যে কোনো উদ্যোগ গ্রহণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হচ্ছে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের ভোক্তাই আপনার সেবা বা পণ্য গ্রহণ করতে পারবে। একবার কোনো মতো জনপ্রিয়তার খাতায় নাম লেখাতে পারলে আর ফিরে চাইতে হবে না। উন্নত বিশ্বের অসংখ্য ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিশ্বজুড়ে জমজমাট বাণিজ্য করছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইনে কেনা-বেচায় অ্যামাজন, নিলাম সাইট ই-বে, ডোমেইন বিপণনে গোড্যাডি_ এরকম অসংখ্য প্রতিষ্ঠান অনলাইন বাণিজ্যের তালিকা সমৃদ্ধ করবে। অনলাইন উদ্যোক্তা এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ডেভ্সটিম-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তাহের চৌধুরী সুমন জানালেন, 'অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য অনেক কিছু নিয়েই শুরু করা যায়। তবে যারা নতুন, তারা সহজে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, লিংক বিল্ডিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন/ডেভেলপমেন্ট, অ্যাফিলিয়েশন মার্কেটিং, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট, আর্টিকেল লেখালেখি বা এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ করা ছাড়াও বিভিন্ন সিএমএসের ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করা যায়। আর নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার সুযোগ তো রয়েছেই।' অনলাইন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন শেখাটা খুব জরুরি বলে জানান তিনি। এছাড়া সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয়, হোস্টিং ও ডোমেইনের বাণিজ্যেও সহজেই সফল হওয়া যায়।
শুরু হোক এখনই :ইন্টারনেট ব্যবহারে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বর্তমানে কম্পিউটারের পাশাপাশি সেলফোনেও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেটে বাণিজ্যিক উদ্যোগ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। অনলাইনে যে কোনো সেবা বিক্রির ব্যবসা খুলতে প্রয়োজন নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা। আবার নিজের ভালো দক্ষতা না থাকলেও সমস্যা নেই। সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কাউকে নিয়োগ দিতে হবে। তবে ব্যবসার পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কেও নিজের স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। যেমন, অনলাইনে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা ওয়েব ডিজাইন সেবা নিয়ে ব্যবসা খুলতে চাইলে কাজগুলোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে আগে পূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে অথবা পূর্ণ দক্ষতা আছে এমন কাউকে নিয়োগ দিতে হবে। কয়েকজন মিলেও এ ধরনের অনলাইন উদ্যোগ শুরু করা যেতে পারে। এর পর আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ওয়েবসাইট খুলে সেটিকে খুব ভালোমানের কনটেন্ট দিয়ে সাজাতে হবে। যেসব গ্রাহক সাইটটিতে আসবেন তারা আপনার কনটেন্ট দেখে যেন ভাবতে পারেন, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনি খুবই অভিজ্ঞ। এর পর ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে হবে বিশ্বস্ত কোনো পেমেন্ট গেটওয়ে। অনলাইনেই উদ্যোক্তা পেয়ে যাবেন ডলার। এরপর গ্রাহককে তার চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে হবে।
সহায়তা পাবেন কমিউনিটি থেকেই : বর্তমানে দেশে বাংলাদেশি অনেকেই অনলাইনভিত্তিক মুক্ত পেশা এবং ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন। প্রথমদিকে যারা শুরু করেছেন, তারা কারও কাছ থেকে তেমন গাইডলাইন পাননি। তবে এখন অন্যদের সহায়তা করার লোকেরও অভাব নেই। ফেসবুক এবং বিভিন্ন বল্গগে এখন স্থানীয় কমিউনিটি তৈরি হয়েছে, যাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সহজেই যে কোনো বিষয় শেখা সম্ভব। উদ্যোগ নেওয়া যায়। দক্ষতা অর্জিত হলে কয়েক জনকে নিয়ে গঠন করা যেতে পারে ছোটখাটো প্রতিষ্ঠান। এর পর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিদেশি গ্রাহকদের কাছে নিজের সেবা পেঁৗছাতে হবে। গ্রাহক ধরার জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে নিজের ওয়েবসাইটকে। বিভিন্ন ফোরাম এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমেও গ্রাহক পাওয়া যেতে পারে এসব সেবার জন্য।
প্রয়োজনে প্রশিক্ষণ :অনলাইনে ব্যবসার বিষয়টি যেহেতু আমাদের দেশে নতুন, তাই এ বিষয়ে সবার জানাশোনা নেই। ভালোভাবে শুরু করতে তাই প্রয়োজন সঠিক গাইডলাইন। এজন্য প্রয়োজনে প্রশিক্ষণও নিতে পারেন। ভালো কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে এর পর শুরু করলে দ্রুত যেমন শুরু করা যাবে, তেমনি হাতেকলমে শেখা যাবে অনলাইন ব্যবসার বিস্তারিত। ঢাকায় ডেভ্সটিম ইনস্টিটিউট [www.devsteam.com]], ডিউজা আইটি সল্যুশন [www.it.dueza.com], অনলাইন সাপোর্ট [[www.earntricks.com], টেকনোবিডি [[www.technobd.com] এবং এনআইএইচআরডি [www.nihrd.org] অনলাইন উদ্যোক্তা এবং ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
আছে কিছু প্রতিবন্ধকতা : অনলাইনে কোনো সেবা বিক্রি করার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সর্বাধিক স্বীকৃত পেমেন্ট ব্যবস্থা পেপ্যাল। তবে এ সেবাটি এখনও বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের মধ্যে কাজ শুরু করেনি। আর তাই বেশ ঝামেলাই পোহাতে হয় উদ্যোক্তাদের। তবে অনলাইনে এখন অনেক সেবাই আছে, যারা সব ধরনের পেমেন্ট গেটওয়ে সমর্থন করে এবং উদ্যোক্তাকে অর্থ পেতে সহায়তা করে। অনলাইন রেপুটেশন এবং সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এক্সপোনেন্ট ওয়েবের প্রধান নির্বাহী আবুল কাশেম জানালেন, 'পেপালের পাশাপাশি টুচেকআউটও অনলাইন ব্যবসার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রায় সব ধরনের পেমেন্ট সিস্টেম সমর্থন করে। সব ধরনের ওয়েবসাইটে এটির ইন্টিগ্রেশন
সুবিধাটাও বেশ সহজ।'
পেপাল বিষয়ে অ্যাক্সেস টু ইনফরমেশন [এটুআই] পরিচালক নজরুল ইসলাম খান জানান, পেপালের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারা বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করতে আগ্রহও প্রকাশ করছে। আশা করছি, শিগগিরই প্রতিষ্ঠানটি তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে এবং দেশে কাজ শুরু করবে।